Wednesday 29 December 2010

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের প্রকল্প অনুমোদন অস্বাভাবিক : ড. আকবর আলি খান

স্টাফ রিপোর্টার

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রকল্প অনুমোদন করবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। আর এই ধরনের ঋণে সাধারণভাবে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।
ভারতের নতুন শর্ত এবং এই ঋণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. আকবর আলি খান গতকাল আমার দেশকে বলেন, শর্ত অনুযায়ী ভারতের ঋণের টাকা দিয়ে ভারতেরই পণ্য এবং সেবা আমাদের কিনতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়েও যদি ভারতে দাম বেশি ধরা হয়, আমাদের তা মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, এক্সিম ব্যাংকের ঋণ দিয়ে সাধারণত আমাদের কোনো লাভ হয় না। তাই অতীতে আমরা এই ধরনের ঋণ কখনও নেইনি। প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের এখতিয়ার বাংলাদেশেরই। এক্সিম ব্যাংক এখানে পরমার্শ দিতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকল্প অনুমোদন করবে, এটা নতুন এবং অস্বাভাবিক ঘটনা।
এদিকে বিচার বিভাগের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারম্যান এম হাফিজ উদ্দিন খানসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করেছেন ড. আকবর আলি খান। তিনি বলেন, টিআইবি জরিপের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টের অভিযোগ খতিয়ে না দেখে ব্যক্তিগত আক্রমণ দুঃখজনক। তিনি বলেন, টিআইবি কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। সমাজ ব্যবস্থার দুর্নীতির চিত্রই তারা রিপোর্টে তুলে ধরেছে। তাতে কোনো ব্যক্তির মানহানি হওয়ার কথা নয়। গবেষণা ও তথ্যের ভিত্তিতে সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরার অধিকার মানুষের রয়েছে।
টিআইবির প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে সরকারের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের আমলেই যে দুর্নীতি হচ্ছে এমনটা নয়। দুর্নীতি শুধু এদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও হয়। বাংলাদেশের দুর্নীতির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও কোনো দ্বিমত নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও দুর্নীতি হ্রাসের অঙ্গীকার ছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম টিআইবির রিপোর্ট প্রকাশের পর যেসব খাতের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সরকার তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নেবে। তা না করে টিআইবির প্রকাশিত রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এতে সমস্যার সমাধান হবে না।

No comments:

Post a Comment