Friday 31 December 2010

সালতামামি-২০১০ : বছরজুড়ে আলোচিত সমালোচিত বিচার বিভাগ

অলিউল্লাহ নোমান

বছরজুড়ে বিচারাঙ্গন ছিল আলোচিত ও সমালোচিত। বছর শেষ হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে। ডিসেম্বরের শেষ পক্ষে সুপ্রিমকোর্ট ছুটিতে থাকলেও নভেম্বর মাসের ঘটনাবলী ছিল দ্বন্দ্ব ও ঘাত-প্রতিঘাতের। ৪ নভেম্বর বিতর্কিত দুই বিচারপতিকে শপথ দেয়া নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ করেন আইনজীবীরা। আপিল বিভাগ ২৯ নভেম্বর বাড়ি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দায়ের করা দুটি আবেদন রীতির প্রশ্ন তুলে বিনা শুনানিতে খারিজ করে দিলে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতর্কের ঝড় উঠে বিচারের দৃষ্টিভঙ্গী ও দর্শন নিয়ে। আদালত অবমাননার এক মামলায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ৬ মাসের দণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, আমার দেশ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমানকে এক মাসের দণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, একই অভিযোগে অপর একটি আদালত অবমাননার মামলায় মাহমুদুর রহমানকে একশ’ টাকা জরিমানা অনাদায়ে একদিনের কারাদণ্ড প্রদান সম্পর্কে ও এই বিষয়ে বাংলাদেশের আইনের দুর্বলতা নিয়ে দেশে-বিদেশে লেখালেখি হয়েছে অনেক। হাইকোর্ট কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনী ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল প্রসঙ্গ রাজনৈতিক অঙ্গনে তর্কের তুমুল ঝড় তুলেছে। এ বিষয়ে আদালতের এখতিয়ার কতখানি তা দিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
গেল এক বছরে ২১ জন নতুন অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে হাইকার্ট বিভাগে। তাদের অধিকাংশের আইন শিক্ষায় এলএলবিতে তৃতীয় শ্রেণী থাকায় ও সরকার দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বিচার বিভাগ দলীয়করণের অভিযোগ ওঠে। বিতর্কিত দুই আইনজীবীকে অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ ও তাদের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে হয়েছে নানা জটিলতা।
বিদায়ী বছরেই অবসরে গেছেন দু’জন প্রধান বিচারপতি। একজনের বিরুদ্ধে বিদায়ী অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করেন। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের সামনেই অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগটি আনেন। আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি তাদের ডিঙিয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়ায় দীর্ঘ ছুটি নেন। এদের মধ্যে একজন
বিচারপতি আবদুল মতিন, অবসরে গেছেন ৩০ নভেম্বর তার ছুটির মধ্যেই। অপরজন বিচারপতি শাহ আবু নঈমের ছুটি এখনও চলছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে নিয়োগ দেয়ার দিন থেকেই ছুটি নেন জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হওয়া এই দুই বিচারপতি। তারা ছুটিতে যাওয়ায় গত ১ অক্টোবর থেকে মাত্র ৩ জন নিয়ে বসে আপিল বিভাগ। ১১ বিচারপতির আপিল বিভাগে গত ৩ মাস ধরে বিচার কার্যক্রম চালাচ্ছেন মাত্র ৩ বিচারপতি।
লন্ডনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশে যোগ দিয়ে হাইকোর্টের এক বিচারপতি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। গত মার্চে ঘটে এ ঘটনা। খুনের মামলায় চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি (নিয়োগ দেয়ার সময় সরকার মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নেয়) ও সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরকারী একজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিয়েও আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল বছরজুড়ে। গত এপ্রিলে তাদের নিয়োগ দেয়া হলেও শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে ৪ নভেম্বরে। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম তাদের শপথ দেয়া থেকে বিরত থাকেন। তার অবসরের পর বর্তমান প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক দায়িত্ব নিয়ে স্বল্পকালের মধ্যেই তাদের শপথ দেন। বিচারপতি হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে সাংবিধানিকভাবে এ শপথদানে তিনি বাধ্য।
বছরজুড়ে আলোচিত ছিল আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ থেকে থানার ওসি এবং জেলা প্রশাসককে তলব করে এনে দিনভর দাঁড় করিয়ে রাখা। সাবেক সচিব আসাফ উদ দৌলাকে এক সেমিনারে কিছু বক্তব্য দেয়ার কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তলব করা হয় এবং তাকে উদ্দেশ করে আদালতের কঠোর মন্তব্যও ছিল আলোচনার শীর্ষে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক মামলায় ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করতে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭টির বেশি মামলা হাইকোর্ট বিভাগে বাতিল ঘোষণা, হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ ছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা, এক মামলার শুনানিতে আপত্তি করায় আইনজীবীদের গ্রেফতার করতে হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির হুমকি, আগাম জামিনের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের কড়াকড়ি, হাইকোর্ট বিভাগে জামিনের আদেশ দেয়ার পরও অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর থেকে কারাগারে ফোন করে জামিনে মুক্তি আটকে দেয়ার অভিযোগে আইনজীবীদের ক্ষোভ ছিল ব্যাপক।
বিদেশি পাসপোর্টধারী ভিনদেশি নাগরিক হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন, মামলার বাদীর সঙ্গে বিয়ে অনুষ্ঠানে এক টেবিলে বসে এক বিচারপতির অন্তরঙ্গ পরিবেশে আলাপচারিতার সংবাদটিও আদালতপাড়া ও তার বাইরে মুখে মুখে আলোচিত বিষয় ছিল। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো জবাব বা বক্তব্য দেননি কেউ।
বছরের শেষদিকে সুপ্রিমকোর্ট ছুটি শুরুর আগে প্রবীণ আইনজীবী টিএইচ খানের সঙ্গে আইনি তর্কের এক পর্যায়ে বিনা শুনানিতে বেগম জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই আইনজীবীদের প্রস্তাব ছিল যে লিভ টু আপিল শুনানির আগেই বেগম জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় আদালত অবমাননা হয়েছে মর্মে তাদের যে আবেদনটি আছে তা আগে শুনানি করা হোক। আদালত এতে রাজি না হলে আবেদনকারিণীর সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ চেয়ে শুনানিতে প্রথমে এক সপ্তাহ, তারপর একদিন তা না হলে এক ঘণ্টা সময় চান বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত কোনো নিবেদন মঞ্জুর করেননি। আপিল বিভাগের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে দায়ের করা অপর একটি পিটিশনও উত্থাপনেরই সুযোগ পাননি কৌঁসুলি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এই অভিযোগ ছিল বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে একটি আদালত অবমাননা মামলায় ২৬ আগস্ট ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করে রায় দেন আপিল বিভাগ। একই রায়ে আমার দেশ প্রতিবেদক অলিউল্লাহ নোমানকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে মাহমুদুর রহমানকে আরও এক মাসের সাজা এবং অলিউল্লাহ নোমানকে ৭ দিনের সাজা দেয়া হয়।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায়টি দেয়ায় প্রদত্ত এই সাজার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে আপিল করার সুযোগ ছিল না দণ্ডপ্রাপ্তদের। প্রথম বিচারেই চূড়ান্ত সাজা। দেশের প্রচলিত আইনে খুনি, ধর্ষণকারী, এসিড নিক্ষেপকারী, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, ভণ্ড, প্রতারক সবাই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জজকোর্টে, জজকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ পায়। এছাড়া আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দেশের ইতিহাসে এই একমাত্র মামলার রায় যার বিরুদ্ধে দণ্ডিত অভিযুক্ত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও অলিউল্লাহ নোমান আর কোনো ফোরামে আপিল করার সুযোগ পাননি। আগস্ট মাসে রায় ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যায়নি বিদায়ী বছরে। পূর্ণাঙ্গ রায় ছাড়া রিভিউ পিটিশন কারার কোনো সুযোগ নেই। এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে অলিউল্লাহ নোমান সাজা ভোগ করা শেষ করে এসেছেন। মাহমুদুর রহমান সাজা ভোগ করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এই আলোচিত-সমালোচিত রায়টি ছিল বিদায়ী বছরে।
সুপ্রিমকোর্টের ছুটি চলাকালীন ২৪ ডিসেম্বর টিআইবির দেশজুড়ে পরিচালিত একটি জরিপে সেবাখাতে মতামত দানকারীরা আদালত অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হওয়ার তথ্য দেন। জরিপ রিপোর্টে তাই সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগ ও তার অধীনস্থ শাখা-প্রশাখাগুলো দুর্নীতিতে শীর্ষ খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে ব্যাপকভাবে আলোচনায় উঠে আসে বিচার বিভাগ। জনমনে প্রশ্ন ওঠে, আদালতের কিছু অনিয়ম তুলে ধরায় আমার দেশ-এর সম্পাদক ও প্রতিবেদকের সাজা হয়েছে। কিন্তু টিআইবির খানা জরিপে তো প্রমাণ হয়েছে দেশের বিচার অঙ্গন শীর্ষ দুর্নীতির জায়গা।
বিচার বিভাগ এ বছরটি বছর শুরু করেছিল রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় কারাগারে আটক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির আপিল খারিজ করে রায় দিয়ে। রিভিউ পিটিশন খারিজ করে আদেশ দেয়ার দিনই তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
ফেব্রুয়ারিতে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেয়ার আগে বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলামের সভাপতিত্বে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া একটি রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩টি লিভ টু আপিল খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিলকারীর আইনজীবীরা সময় চেয়েছিলেন। আদালত কোনো সময় দেননি। এক রকম তাড়াহুড়ো করেই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেয়ার আগে বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম লিভ টু আপিল শুনানি করেন। তিনি অবসরে যাওয়ার একদিন আগে রায় ঘোষণা করেন। তবে লিখিত রায় দেয়া হয় তার অবসরে যাওয়ার কয়েক মাস পর। অনুরূপভাবে আমার দেশ সম্পাদক ও প্রতিবেদকের শাস্তি দিয়ে রায় ঘোষণার দেড় মাসের মাথায় অ্যাটর্নি জেনারেলের দ্বারা উত্থাপিত সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদায় নেন বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম। তিনি এখন পর্যন্ত লিখিত রায়টি দেননি।
গেল বছর হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন এবং বিচারপতিদের এখতিয়ার বণ্টন নিয়েও আইনজীবীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশা দেখা গেছে।
এরই মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের জন্য তৈরি করা হয় এই ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রশ্ন উঠেছিল, স্বাধীনতার পর চিহ্নিত ১৯৯ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে ১৯৭৪ সালে ক্ষমা করে দিয়েছিল তত্কালীন শেখ মুজিবুর রহমান সরকার। তারা ক্ষমা পেয়ে চলে যায় পাকিস্তানে। তখন মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের জন্য আর কাউকে এখনকার মতো এভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশী মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করার পক্ষাবলম্বীদের যুক্তি হলো, এরা এদেশের মানুষ হয়ে এদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে চরম নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে বিদেশি দখলদার বাহিনীকে। তাই এদের বিচার হওয়া বেশি জরুরি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দিয়েছে ৩ জন বিচারককে। সরকারি প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার পর এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। এখানে কয়েক দফা হাজির করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন আসামিকে। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীদের নিম্নআদালতে অবাধে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ঢালাওভাবে মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর বিষয়টি ছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নিয়ে আলোচনার শীর্ষে। আসামি জেলে থাকাকালীন সংঘটিত ঘটনায়ও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মামলার সঙ্গে কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা নেই, এফআইআর, এজাহার কোথায়ও কোনো পর্যায়ে নাম নেই এমন ব্যক্তিদের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে বেশকিছু ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সরকার আবেদন করলেই কোনো রকমের যাছাই-বাছাই ছাড়া দেখানো হয় শ্যোন অ্যারেস্ট।
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে আসামিদের ঢালাওভাবে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টিও নিম্নআদালতে ছিল ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং সমালোচিত। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিমান্ডের বিষয়ে একটি গাইডলাইন দিয়েছিল নিম্নআদালত ও পুলিশকে। আপিল বিভাগে এখন পর্যন্ত তা বহাল আছে। বছরজুড়ে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে বহাল থাকা হাইকোর্ট বিভাগের গাইডলাইনটি লঙ্ঘিত হচ্ছে বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

No comments:

Post a Comment