Tuesday 26 April 2011

ঘরে-বাইরে সঙ্কটে মহাজোট সরকার








স্টাফ রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এখন সমস্যার পাহাড়। সরকার, নিজ দল ও জোট-মহাজোট নিয়ে নতুন নতুন সঙ্কট মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে মধ্যমেয়াদ পার করতে না করতেই নিত্যনতুন সমস্যা তাকে চেপে ধরেছে। সরকারের সকল কর্মকাণ্ড মূলত একব্যক্তিকেন্দ্রিক হওয়ায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জটলা বেঁধে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, শেযারবাজার কেলেঙ্কারি, বিদ্যুত্ ও গ্যাস সঙ্কট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, রাজধানীর অসহনীয় যানজটসহ জনজীবনের অন্তহীন সমস্যা সমাধানে বলা যায় আ’লীগ সরকার পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ড. ইউনূসকে অপসারণ, সংবিধান সংশোধন, নারীনীতিসহ স্পর্শকাতর ইস্যুতে হাত দিয়ে টালমাটাল হয়ে পড়েছে সরকার। এরই মধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট এবং বৈদেশিক সহায়তা পেতে দাতাগোষ্ঠীর কঠিন শর্তারোপ সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। এদিকে সরকার আর দল একাকার হয়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক স্থবিরতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে গ্রাস করে ফেলেছে। স্তিমিত হয়ে পড়ছে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দিন দিনই নেমে যাচ্ছে উল্লেখ করে দলের মধ্যমসারির নেতৃত্ব থেকে অভিযোগ উঠেছে, প্রাচীন ও জনপ্রিয় দলটি আজ বামদল সিপিবি ও ন্যাপে রূপান্তরিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে অতীতের যে কোনো অবস্থার তুলনায় দুর্বল—এমনটা দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকেও স্বীকার করা হচ্ছে। কেবলমাত্র দিবসকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল। দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচি সফল করতেও ভাড়াটিয়া লোক আনা হচ্ছে, এমন অভিযোগও দল থেকে এসেছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচিরেই ঐতিহ্যবাহী এ দলটিকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হবে বলে দলের সিনিয়র নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আওয়ামী লীগের বিপর্যস্ত পরিস্থিতির পাশাপাশি মহাজোটেও ভাটার টান লেগেছে। সমন্বয়হীনতা এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক জোটের শরিকদের অবমূল্যায়ন করার কারণে মহাজোট তথা ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গেও দলটির দূরত্ব দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে নানামুখী সঙ্কটে পড়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, শরিক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃত্বসহ সরকারের বিভিন্নস্তরে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে বিরোধী দলের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি সরকারকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।
মহাজোট সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির শিকার হয়। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহসহ কয়েকটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এর বাইরে বেশকিছু ঘটনা সরকারের ভেতর থেকেই উস্কে দেয়া হয়েছে। একের পর এক এসব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকার জনজীবনের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। সভা-সেমিনারসহ দলীয় ফোরামের আলোচনায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজ ফোরামের প্রকাশ্য জনসভায় সরকারের ব্যর্থতার কথা বলা হচ্ছে। খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, বিদ্যুত্ ও গ্যাস সঙ্কট, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং মন্ত্রীদের অতিকথনের সমালোচনা আসছে। ব্যর্থতার কারণে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের দাবিও করা হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ একাধিক মন্ত্রীর ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়। দলীয় ফোরামগুলোতে একাধিক এমপি-মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তাদের সমালোচনা হলেও প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাদের পক্ষে অবস্থান নেন। এতে করে অভিযুক্ত এমপি-মন্ত্রীরা উত্সাহিত হচ্ছে বলে নিজ দল থেকে আক্ষেপ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সংসদের গেল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ রাস্তাঘাট সংস্কার প্রসঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রীর সমালোচনা করলে প্রধানমন্ত্রী ওই সংসদেই যোগাযোগমন্ত্রীর পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য দেন। গত মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায়ও দল ও সরকারের সমালোচনা করা হয়। ওই বৈঠকে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক সরকার ও দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে আসন পেয়েছিল কম কিন্তু সরকার ছিল শক্তিশালী; আর এবার আসন পেয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সরকার অনেক দুর্বল।’ শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ফলে সরকারের যে ইমেজ সঙ্কট দেখা দেয় তা পুনরুদ্ধারে উচ্চ পযার্য়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটির রিপোর্ট নিয়ে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সরকার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদৌ ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।
সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও বছর না যেতেই এতে ভাটা লেগেছে। সরকারের মতে, ‘চিহ্নিত’ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর গ্রেফতার ও তদন্ত কমিটির কয়েকটি স্থান পরিদর্শন ছাড়া এতে কোনো অগ্রগতি নেই। বিদেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমও এ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক একটি প্রভাবশালী পত্রিকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে এতদিন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বর্তমান সরকারের মেয়াদে এ বিচার শেষ করার কথা বলা হলেও অতিসম্প্রতি বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকারের সময়ে বিচার ‘শুরু করা’ হবে।
সরকারের এই দুর্বল অবস্থার চেয়ে সরকারি দলের অবস্থা আরও সঙ্গীন। গত আড়াই বছরে শাসক দল আওয়ামী লীগের বড় সাংগঠনিক অর্জনের মধ্যে রয়েছে কেবল জাতীয় অনুষ্ঠান। অবশ্য এটাও হয়েছে নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণের জন্য। এর বাইরে কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বর্ধিতসভা হলেও ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় কাউন্সিলের পর শিগগিরই দলের তৃণমূল কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হলেও জেলা-উপজেলা তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত ওয়ার্ড পর্যায়ের একটি কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়নি।
ক্ষমতার প্রায় আড়াই বছরে আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নিলেও তা ওই সিদ্ধান্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বার বার উদ্যোগ নেয়ার পরও নতুন কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না শাসক দলটি। ঘরোয়া সভা-সেমিনার আর জাতীয় ও দলীয় দিবসভিত্তিক কর্মসূচির বাইরে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে না। সরকারের মধ্যেই যেন হারিয়ে গেছে দেশের প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বত্রই সাংগঠনিক অবস্থা অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় নাজুক বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আট মাস আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত সৃষ্টি করতে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার জন্য দুই দফা সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখনও তা শুরুই হয়নি। কবে হবে তারও কোনো খবর নেই। এক কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে গত বছর জানুয়ারিতে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন হলেও ঢাকা মহানগরসহ দেশের অর্ধেক জেলায় তা শুরুই করা যায়নি। গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক জেলা সফর কর্মসূচি শুরু হলেও তা মাঝ পথে থেকে যায়। এক মাসে ৭৩টি সাংগঠনিক জেলায় বর্ধিতসভা সম্পন্ন করার টার্গেট নিয়ে সফর কর্মসূচি শুরু হলেও ২০টির মতো জেলা সফর বাকি থাকতেই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে সংগঠনের বিভিন্নস্তরে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার ও ব্যক্তিস্বার্থকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কার্যক্রম। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে তৃণমূলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরিই স্থবির হয়ে পড়েছে। গ্রুপিংয়ের কারণে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ তো দূরের কথা, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলোও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। কোনো কোনো জেলা বা উপজেলায় ৩/৪টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্রুপের কোনোটার নেতৃত্বে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি, কোনোটার সাধারণ সম্পাদক আবার কোনোটার নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্য, কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও এসব গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের কর্মীরা স্থানীয় সংসদ সদস্যকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।
এককালের সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ আজ কর্মসূচি সফল করতে ভাড়া করে লোক নিয়ে আসে, এমন অভিযোগও উঠেছে। আর এই অভিযোগটা এসেছে দলেরই একটি সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে। গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক যৌথসভায় যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার এমপি বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভার প্রসঙ্গ টেনে ভাড়ায় লোক আনার অভিযোগ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অনুষ্ঠানে কারা যায় তাদের আমরা চিনি না। অনুষ্ঠানে ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আসা হয়। তারা সামনের সারির আসনগুলো দখল করে রাখে। আর নির্দিষ্ট একজন নেতা বক্তৃতা দিলেই তারা হাততালি দেয়।
গত সোমবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় নগরের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের সবচে প্রাচীন এ দলের কর্মসূচি কেবলমাত্র কিছু আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে দলের সমর্থন দিন দিন শূন্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ শুধুমাত্র ব্যানার ও নামসর্বস্ব সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তৃতাবাজি করছেন। ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় এ দলটি কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপে রূপান্তরিত হচ্ছে।
সরকার ও দলের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আর সরকার একাকার হয়ে গেছে—এমন মন্তব্য করে দলের এক শীর্ষ নেতা এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরনোদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বলেন। ওই নেতা বলেন, আগে আওয়ামী লীগ পরে সরকার। কাজেই সরকারকে সফল করতে হলে সংগঠনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী না হওয়ার কারণে সরকারের সফলতাগুলো প্রচারণা পাচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মন্ত্রিসভার রদবদলের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান।
সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আমার দেশ’কে বলেন, সরকার মোটামুটি সঠিক পথেই চলছে। ঘোষিত ইশতেহার ধরেই সরকার এগুচ্ছে। দু’একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলেও তাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না। দলের মৌলিক সিদ্ধান্তের বাইরে সরকার যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন।
সাংগঠনিক বিষয়ে জানতে চাইলে আ’লীগ সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তেমন কিছু হচ্ছে না। স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডই বর্তমানে চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের জন্মদিনসহ স্বাধীনতার মাসের কর্মসূচি নিয়ে মার্চ মাসে ব্যস্ত ছিল। এখন এমপি-মন্ত্রীসহ নেতাকর্মীরা হয়তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এ কারণে এই মুহূর্তে সাংগঠনিক কাজের তেমনটা সুযোগ নেই। তৃণমূল কাউন্সিল অনুষ্ঠান বিষয়ে নীতিনির্ধারণী এই নেতা বলেন, মনে হয় না আপাতত কোনো পর্যায়ে কাউন্সিল হবে। সময় তো অনেক রয়েছে, অবশ্যই আগামীতে হবে

No comments:

Post a Comment