Tuesday 26 April 2011

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০ : ৪০টি বাড়িঘরে আগুন, ১৪৪ ধারা জারি









খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার বড়পিলাকের কচুবাউন্তি এলাকায় গতকাল দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ভূমি বিরোধের জের ধরে পাহাড়ি-বাঙালি দুইপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। তিনজনকেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউপিডিএফ রেমং মারমা নামে এক পাহাড়ি নিহত হওয়ার দাবি করেছে। নিহতরা হচ্ছে আইয়ুব আলী (৩৮), পিতা আবদুল আউয়াল, নোয়াব আলী (৬০), পিতা তেনা গাজী, সুনিল সরকার (৩০), পিতা নারায়ণ সরকার। এদের বাড়ি বড়পিলাক গ্রামে।
বাঙালিদের অভিযোগ, ৪/৫শ’ পাহাড়ি সন্ত্রাসী বাঙালিদের ঘেরাও দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অপর ছয়জন মানিকছড়ি হাসপাতালে রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেককে ভয়ে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিকাল ৪টা থেকে ঢাকা-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনার জন্য পাহাড়ি-বাঙালি পরস্পরকে দায়ী করেছে। এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মানিকছড়ির মহামুনী এলাকায় ১০টি পাহাড়ি ঘরে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কচুবাউন্তি এলাকায় জয়নাল পিসির জমিতে ৮/১০ জন শ্রমিক আদা হলুদ লাগানোর জন্য কাজ করছিলেন। এ সময় পাশের চালাড়ংপাড়া ও রেমরংপাড়া গ্রামের ৪/৫শ’ পাহাড়ি সন্ত্রাসী শ্রমিকদের ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে উভয়পক্ষে ৪০টি বাড়িঘর ভস্মীভূত হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। সহকারী পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেল তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বাঙালি ছাত্র পরিষদ আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেন

No comments:

Post a Comment