স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, কোনো উস্কানি নয়—আড়িয়ল বিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তাই ওখানে বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে এখন কি করা উচিত সে বিষয়ে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গতকাল বনানীর কার্যালয়ে দলের নীতিনির্ধারণী বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহাজোটের নামে পৌর নির্বাচন করতে গিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় দরকার এবং মহাজোটের সাংগঠনিক অবস্থা আরও দৃঢ় করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি এখনও ভারসাম্য অবস্থায় রয়েছে। হবিগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনে জনগণ সে বার্তাই দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকা দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, গোলাম হাবিব দুলাল, ফকির আশরাফ, আহসান হাবিব লিংকন, এইচএম গোলাম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অতিসম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর ও উপনির্বাচনের প্রেক্ষিতে এরশাদ বলেন, প্রত্যেক আসনেই জাতীয় পার্টির গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার ভোটার রয়েছে। এটাই ভারসাম্যের ভোট। হবিগঞ্জের নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনের দুটি আসনেই জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছিল। মহাজোটের স্বার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী প্রত্যাহার করে। কিন্তু হবিগঞ্জের প্রার্থীর বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কিছু বলা হয়নি।
No comments:
Post a Comment