Wednesday 23 February 2011

খালেদা জিয়া প্রধান আসামি : আড়িয়লের ঘটনায় ৪ মামলা, আসামি ২১ হাজার, ঘরে ঘরে নির্বিচারে তল্লাশি, ২০ গ্রাম পুরুষশূন্য


মুন্সীগঞ্জ ও শ্রীনগর প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সোমবার আড়িয়ল বিলবাসী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং এতে পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে সরকার। এছাড়া সোমবারের ঘটনায় চার মামলায় মোট ২১ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারের জন্য শ্রীনগরে সর্বাত্মক অভিযান চলছে। নির্বিচারে দরজা-জানালা ভেঙে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অভিযানের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নিগৃহীত হয়েছেন। গত রাত পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সহিংসতায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার লাশ গতকাল নওগাঁয় দাফন করা হয়েছে।
সোমবারের সহিংস ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে চতুর্থ মামলাটি মুন্সীগঞ্জ বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে গতকাল দুপুরে রুজু করেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মতিন। হাকিম আবু হাসনাত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা এজাহার হিসাবে গ্রহণ করতে শ্রীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন ছাড়াও ২৯ জানুয়ারি বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আইনজীবী ফোরামের সঙ্গে সভায় উপস্থিত নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, খালেদা জিয়ার গোপন নির্দেশে সোমবার শ্রীনগরে বিএনপি নেতাকর্মী ও গুণ্ডারা মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেককে পিটিয়ে আহত করে। এতে এসআই মতিউর রহমানের মৃত্যু হয়।
এদিকে গতকাল রাত থেকেই আড়িয়ল বিল ও সংলগ্ন ২০টি গ্রামে পুলিশ, র্যাব ও সরকারের অন্যান্য বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। ঘরে ঘরে বেপরোয়া পুলিশি তল্লাশিতে গোটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে ২০ গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। নির্বিচারে তল্লাশি ও ধরপাকড়ে ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে কয়েক লাখ এলাকাবাসী। সোমবারের সহিংস ঘটনায় ওইদিন রাতে শ্রীনগর থানায় পৃথক ৩টি মামলা হয়। প্রতিটিতে ৬-৭ হাজার জনকে আসামি করেছে পুলিশ। ওইসব মামলায় গত রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভূমি মালিকরা ঢাকা-মাওয়া সড়ক অবরোধের সময় সংঘর্ষে মতিউর রহমান নামে এক পুলিশ উপপরিদর্শক নিহত হন। ব্যাপক সংঘর্ষে আহত হন সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেটসহ শতাধিক।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা : মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে আড়িয়ল বিলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করে গত সোমবার বিল রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন দেয়া, গাড়ি ভাংচুর, পথ রোধ ও পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসানাত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য শ্রীনগর থানায় প্রেরণ করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিগত ২৯ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে বলেন, বিএনপি এখানে বিমানবন্দর করা মানবে না এবং গোপনে নেতাকর্মীদের ওই স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণ প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। গত ৩১ জানুয়ারি মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়ার হুকুমে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাংচুর, পথরোধ, দোকানপাট ভাংচুর ও সাধারণ নিরীহ পথচারীদের ওপর হামলা চালায় এবং একটি পুলিশের গাড়ি ও পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দেয়। পুলিশের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে খুন করে। সন্ত্রাসী আক্রমণে মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম আলোর সাংবাদিক সাজেদুল ইসলাম, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শফিউদ্দিন বিটু, এএসপি দেওয়ান লালন আহম্মেদ, সিরাজদিখান থানার এসআই কামাল পাশা, এসআই মুনির, কনস্টেবল আজিজুল ইসলাম, হাবিলদার মুনির, মনিরুজ্জামান, রিজার্ভ কনস্টেবল আনোয়ার, মফিজুল ইসলাম, আর্মড পুলিশ সদস্য রফিকুল, মো. আজান ও শাকিল আহত হন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি শহরে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল হাই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি সুপার মার্কেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে কৃষি ব্যাংক মোড় হয়ে বিএনপি কার্যালয় এসে শেষ হয়। এর আগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত তাত্ক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি সভাপতি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা, বানোয়াট, ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। সম্মেলনে তিনি বলেন, আড়িয়ল বিল রক্ষা কমিটির আন্দোলন নিজ জমি অধিকার রক্ষার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। আড়িয়ল বিল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাহজাহান বাদল শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও বাড়ৈখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মাস্টার জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য। তারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তবুও এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা দুরভিসন্ধিমূলক ও নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান সরকার হাজার হাজার নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
জেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল হাই অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসত্ উদ্দেশ্যে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান, অন্যথায় পওে জেলায় সব স্তরের মানুষকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তোতা মিয়া, জেলা বিএনপি নেতা আতোয়ার হোসেন বাবুল, আবদুল আজিম স্বপন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদ কমিশনার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মাসুম, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম জসিম, যুবদল নেতা শাহীন, বকুল প্রমুখ।
অভিযান-গ্রেফতার : শ্রীনগরে পুলিশ হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ২১ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে আড়িয়ল বিল সংলগ্ন ২০টি গ্রাম প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। রাতদিন পুলিশি অভিযানে ১৮ জনকে অটক করা হয়েছে। বিল এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ নারী ও শিশুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের বিভিম্ন পয়েন্টে পুলিশ ও র্যাব টহল দিচ্ছে। গতকাল সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
হাসাড়া স্কুলগেটে টহলরত পুলিশের ছবি তুলতে গেলে পুলিশ বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং ক্যামেরাম্যান রাহুলকে মারধর করে।
আড়িয়ল বিল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাজাহান বাদল, ড. ফখরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, বাড়ৈখালি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মাস্টার, হাসাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, শ্রীনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ. বারেক, মোকসেদ মাস্টার, সেন্টু মেম্ব্বার, হাসান মেম্বার, মোয়াজ্জেম মেম্ব্বার, জলিল মেম্ব্বার, আজিজ মেম্বার, জলিল মাস্টার, খলিল মাস্টারসহ ১৫৪ জনকে এজাহারভুক্ত কওে অজ্ঞাত ১৮ হাজার লোকের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে শ্রীনগর থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
শ্রীনগর থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ নিহতের ঘটনায় মামলার বাদী হয়েছেন শ্রীনগর থানার এসআই ফরিদ হোসেন, ছনবাড়ী এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বাদী হয়েছেন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কুদ্দুস এবং হাসাড়া ফাঁড়িতে আগুন দেয়ার মামলায় বাদী হয়েছেন এএসআই আতাউর রহমান। পৃথক তিনটি মামলায় অজ্ঞাত ৫-৬ হাজার করে প্রায় ১৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেফতারে নামে পুলিশ। পুলিশের খোয়া যাওয়া তিনটি শটগানের মধ্যে একটি শটগান শ্রীনগর উপজেলার আলমপুর গ্রামের রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে চারদিকে। সোমবার রাতভর হাসাড়া, লস্করপুর ও আলমপুরে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ২০-২৫টি ঘরের দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলে এলাকাবাসী দাবি করে। হামলার আশঙ্কায় বৈশাখী পরিবহনের সব বাসের ঢাকা-রাড়ৈখালি রুটে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
১০-১২টি গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে পুলিশ ভাংচুর চালায় এবং বাড়ি থেকে নারীদের টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী। এ হামলার পর গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের নারী ও পুরুষ সবাই অতিরিক্ত কাপড় এবং শুকনো খাবার নিয়ে দূর-দূরান্তের গ্রামে পালিয়ে যাচ্ছেন।
লস্করপুর মসজিদের ইমাম রফিক উদ্দীন বলেন, গতরাত ২টার দিকে পুলিশ আমার বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করে। আমাকে চড়থাপ্পড় মারে। একই গ্রামের বিধবা কমিন বেওয়া হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তিনি বলছেন, আমার কোনো ছেলে নেই। আমার স্বামী মারা গেছে বহুদিন আগে। তারপরও পুলিশ আমার বাড়িতে ভাংচুর করেছে। ঘরের ভাঙা দরজা, জানালা দেখিয়ে তিনি বলেন, আমি এখন কার কাছে যাব। কার কাছে ক্ষতিপূরণ চাইব। ওদিকে বিপুলসংখ্যক থানা ও দাঙ্গা পুলিশ গ্রামগুলোর প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখে টহল দিচ্ছে। তারা সন্দেহজনক মনে হলেই লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যার পর গ্রামে ঢুকে দেখা গেছে গ্রামের আশপাশের বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে রয়েছেন অনেকে। তবে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্তরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। একদিকে গ্রামবাসী সাংবাদিকদের সন্দেহ করছেন অন্যদিকে পুলিশ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মারমুখী ভূমিকায় নেমেছে।
মাওয়া মহাসড়কে বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত সহকর্মীর মৃত্যুর পর কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি গুলি চালানোর অনুমতি দিত তবে এভাবে আমাদের মরতে হতো না।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আসাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, যারা পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিভিশন ক্যামেরার ভিডিও চিত্র দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক হাজার গ্রামবাসীর সবাই আইন অমান্য করেনি। তবে আইন অমান্য করেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২০০। তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে পুলিশি তাণ্ডব থেকে বাঁচতে স্থানীয় গ্রামবাসী গাজিঘাট, বাড়ৈখালি লঞ্চঘাট, আলিমপুর, মুন্সীরহাটিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাছের গুঁড়ি ফেলে পুলিশের গাড়ি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
উপজেলার লস্করপুর, টেকের হাট গ্রামের গৃহবধূ পারুল বেগম, অনু, শিল্পী রিকশাচালক দুলালের স্ত্রী লিপি আমার দেশকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আসামি ধরার নামে দরজার খিল ভেঙে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছে, ‘এতদিন ভালোভুলা খাইছোস এখন আর খাওন জুটব না।’
আটকের ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ৬-৭ জনকে আটক করা হয়েছে

No comments:

Post a Comment