Saturday 9 July 2011

বুধবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণঅনশন : জামায়াতের নফল রোজা : ৩০ ঘণ্টার হরতালে চারদলের সমর্থন












স্টাফ রিপোর্টার
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রত্যাহার এবং হরতালে নির্যাতক পুলিশের গ্রেফতার দাবিতে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ এবং ১৩ জুলাই গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এই অনশনে নেতৃত্ব দেবেন। গতকাল পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিকে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল আহূত কাল রোববার এবং পরশু সোমবারের লাগাতার ৩০ ঘণ্টার হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জামায়াতে ইসলামীসহ চারদলীয় জোট। দাবি একই হওয়ায় এ সমর্থন দেয়া হয়। সমমনা দলগুলোও এ হরতালে সমর্থন দিয়েছে।বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের বর্বর হামলা, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে গণঅনশন এবং রোববার ও সোমবারের লাগাতার ৩০ ঘণ্টার হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকাল ৩টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে সরকারের নির্দেশে পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃত জামায়াতের শীর্ষ নেতাসহ সব রাজবন্দি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের দাবিতে শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৩ জুলাই জুলুম-নির্যাতন ও দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তির জন্য নফল রোজা কর্মসূচি পালন করবে জামায়াতে ইসলামী। দেশবাসীকে এ নফল রোজা রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর সভাপতিত্বে লালবাগের কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এবং বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ও মহাসচিব শামীম আল মামুন ও খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রোববার ও সোমবার ৩০ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল আহ্বানকারী ১২ দলে রয়েছে— বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, সম্মিলিত উলামা-মাশায়েখ পরিষদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ উলামা পরিষদ ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলন। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা মুছে ফেলা, ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন, ধর্মবিরোধী শিক্ষানীতি ও নারীনীতির প্রতিবাদে তারা এ হরতাল কর্মসূচি আহ্বান করেছে। একই দাবি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রোববার একদিনের হরতাল পালন করবে। বিএনপির কর্মসূচি : গতকাল বিকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। ওইদিনটি জাতির ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবে। টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করে জনগণ পঞ্চদশ সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করেছে। হরতালে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও গ্রেফতার হয়েছে। অনেকের বাড়ি-ঘর, কারখানা ভাংচুর হয়েছে। তাদের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পুঁজিবাজারে লুণ্ঠন হয়েছে। আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে।সাংবাদিকদের সংগ্রামী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারাও দেশ রক্ষায় সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। পুলিশি হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। কারও কারও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য আপনাদের সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বুধবার আওয়ামী গণতন্ত্রের এক অদ্ভুত নমুনা দেখলাম। যেখানে পুলিশ কর্মকর্তা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান। এখানে পুলিশ কর্মকর্তা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে লাথি-ঘুষি, লাঠি দিয়ে পেটাতে পারেন। এই বর্বর হামলা যখন করা হয়েছে তখন সংসদ অধিবেশন চলছিল এবং ঘটনাটি ঘটেছে সংসদ এলাকায়। সেই পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও বহালতবিয়তে আছেন। তারা হাসপাতালে বসে টিভিতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, আমাদের হাতে লাঠি দেয়া হয়েছে চুমো দেয়ার জন্য নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের দেখতেও গেছেন। তিনি বলেন, যিনি পুলিশি হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার নামে উল্টো মামলা দেয়া হয়েছে। এটা এক নাটক। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছেন। তার বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রূপগঞ্জে নায়ারণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কারখানায় হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। তারাব বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দিনের হরতালে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, ৭শ’ আহত ও মোবাইল কোর্টে ১শ’ নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ সময় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফাকে রিকশায় যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর কোর্ট থেকে তাকে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আবার তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। যুবদল মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজনুকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। জুলুম-নির্যাতনের একটি ভয়াবহ কারাগারে আমরা অবস্থান করছি। ‘গণতন্ত্রের প্যান্ট খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’ মর্মে আ স ম আবদুর রবের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। এটা জাতির জন্য কলঙ্ক হয়ে থাকবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। এবার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ আগেও এধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করেনি। এখনও করবে না।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খন্দকার, অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, আসাদুল করিম শাহীন, শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ। জামায়াতের কর্মসূচি : সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্থাপনের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে ১২টি ইসলামী ও সমমনা দলের ডাকা ৩০ ঘণ্টা হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে সরকারের নির্দেশে পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃত জামায়াতের শীর্ষ নেতা, সব রাজবন্দি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের দাবিতে আজ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৩ জুলাই জুলুম- নির্যাতন দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তির জন্য নফল রোজা রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। গতকাল মগবাজারের জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে চারদলীয় জোট যুগপত্ভাবে ৬ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৮ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল আহ্বান করেছিল। সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে মাঠে নামিয়ে এ হরতাল বানচালের জন্য যারপরনাই চেষ্টা চালিয়েছে। পুলিশ মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিং করতে দেয়নি, এরপর যেখানে যেখানে মিছিল বের হয়েছে সেখানে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। সারা দেশে জামায়াতের দু’শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পুলিশ বেধড়ক পিটিয়েছে, তার শরীর থেকে শার্ট খুলে নিয়ে লাথি মেরেছে, যা অতীতে কোনো সময় ঘটেছে বলে জানা যায়নি। তিনি বলেন, পুলিশ শুধু জয়নুল আবদিন ফারুককে পেটায়নি তারা সংসদীয় গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলা হতো। কিন্তু পুলিশের এ বর্বর নির্যাতনে সেই গণতন্ত্র ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হলো। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কিছু এমপি প্রকাশ্যে নির্যাতনকারী পুলিশ অফিসারের পক্ষাবলম্বন করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করল। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে পুলিশ কীভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের ওপর হামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজে অত্যন্ত পরিষ্কার, পুলিশই হামলাকারী। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে প্রদত্ত বিবৃতিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ফারুকই পুলিশের ওপর হামলাকারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সত্য লুকানোর এ ভূমিকায় গোটা জাতি হতবাক। একদিকে পুলিশের ওপর হামলাকারী হিসেবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, অপরদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছে। এ দ্বিমুখী ভূমিকায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে সরকারের ইঙ্গিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে স্পিকারের ভূমিকায় জাতি হতাশ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশ বিরোধী দলকে মাঠে নামতে না দিলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করে প্রমাণ করেছে এ সরকারের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। তিনি হরতালের সময় পুলিশের বিএনপি-জামায়াতের অফিস অবরুদ্ধ করে রাখা, মিছিলে হামলা, গ্রেফতার, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মূলত এদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দাবি না মানলে একপর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। এছাড়া প্রয়োজনে রমজান মাসেও হরতাল দেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মো. তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, সহকারী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী প্রচার সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রমনা থানা আমির সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।ইসলামী ঐক্যজোটের কর্মসূচি : গতকাল বিকালে লালবাগ কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক যৌথ সভায় বসেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী। সভায় রোব ও সোমবারের হরতালে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ৩০ ঘণ্টার হরতালকে ঈমান রক্ষার কর্মসূচি হিসেবে অভিহিত করে মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম মুছে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করে সরকার এরই মধ্যে মুসলমানদের ঈমানের ওপর আঘাত হেনেছে। ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সংবিধানে আল্লাহর নাম ফিরিয়ে আনতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান

No comments:

Post a Comment