Sunday 27 March 2011

আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে না : আজহার

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। তারা সন্ত্রাস, খুন ও টেন্ডারের লাইসেন্স দেয়। তারা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসি ও খুনের আসামিদের ছেড়ে দেয়। আসলে আওয়ামী লীগ খুনিদের দল। যতদিন এই দল ক্ষমতায় থাকবে ততদিন খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে না, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না। আর দেশের সব খুনের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। এদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। কিসের ভিত্তিতে তাদের পাঠানো হলো তার জন্য একদিন আওয়ামী লীগকেই জবাবদিহি করতে হবে।
গতকাল সকালে মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিবির সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক অধ্যাপক তাসনীম আলম, শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম, দফতর সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারসহ মহানগর নেতারা।
এটিএম আজহার বলেন, আমাদের কথায় সায় দিয়ে আইনমন্ত্রী বিদেশ থেকে এসে যুদ্ধাপরাধীর পরিবর্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা বলা শুরু করেন। যুদ্ধাপরাধ হয় যুদ্ধের সময় আর মানবতাবিরোধী অপরাধ সব সময় হয়। তাই ’৭১ সালের যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ আর বর্তমানে সংঘটিত অপরাধগুলো একই ধরনের। সরকারের সাহস থাকলে ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করুক। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কবরের হাড়-হাড্ডি আর সাক্ষী তালাশ করতে হলেও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে সংঘটিত লগি-বৈঠার তাণ্ডবের বিচার করতে ভিডিও ফুটেজই যথেষ্ট। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করলেই বুঝব সরকার বিচার চায়।
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নেতাদের হত্যা করা হয়। সেই এরশাদ এখন আওয়ামী সরকারের অংশীদার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো সময়ই গণতন্ত্র ও ইসলামকে বরদাশত করে না। তারা ক্ষমতায় এলেই গণতন্ত্র বিপন্ন, ফতোয়া নিষিদ্ধ, কোরআনবিরোধী নারীনীতি, নাস্তিক্য শিক্ষানীতি হয়। জেহাদি বইয়ের নামে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বর্তমান স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক তাসনীম আলম বলেন, ’৮২ সালে রাবিতে শিবির নেতাদের যেভাবে হত্যা করা হয়, এরকম বর্বর ঘটনা কোনো মানুষ ঘটাতে পারে না। সেই বর্বরতার ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও শিবিরের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্ত এসব জুলুম মোকাবিলা করেই সংগঠনটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ড. রেজাউল করিম বলেন, শিবিরের ওপর জুলুমকারীদের অবশ্যই একদিন বিচার হবে। কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে লাখ লাখ শিবির কর্মী জীবন দিতে প্রস্তুত আছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, ’৮২ সালে রাবিতে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যেভাবে শিবিরের অগ্রযাত্রা ঠেকানো যায়নি আগামীতেও ঠেকানো যাবে না। সব বাধা অতিক্রম করে শিবির তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

No comments:

Post a Comment