Sunday 18 July 2010

ফিরে এলো আমার দেশ : আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল




বিশেষ প্রতিনিধি
অনিশ্চয়তা ও রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক রায়ে দেশপ্রেমিক জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর দৈনিক আমার দেশ আজ আবার প্রকাশিত হলো। নিপীড়নের অমানিশা কাটিয়ে আলোর প্রস্ফুটন ঘটল সর্বোচ্চ আদালতের এক ঐতিহাসিক রায়ে। আমার দেশ প্রকাশে চেম্বার জজের স্থগিতাদেশ খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
গতকাল প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে এই রায় দেন । এর ফলে আমার দেশ প্রকাশে আর কোনো বাধা রইল না। এ অবস্থায় হাইকোর্টের রায়ে ১১ থেকে ১৫ জুন ৫ দিন পত্রিকা সীমিত আকারে প্রকাশের দীর্ঘ ৩৩ দিন পর আজ আবার আমার দেশ প্রকাশিত হচ্ছে।
এখন দেশবাসী অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন আমার দেশ-এর সাহসী সম্পাদক, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষের অকুতোভয় সৈনিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য। লাখো-কোটি প্রতিবাদী জনতা দেশ-বিদেশে সংগ্রাম করছেন মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে। মাহমুদুর রহমানকে গত ২ জুন ভোরে গ্রেফতারের পর একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ১২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় এবং অমানুষিক দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। হাইকোর্ট ৪টি মামলায় তাকে জামিন দিলেও নতুন নতুন মামলা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেম্বার জজ স্থগিতও করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দৈনিক আমার দেশ প্রকাশনা ঢাকা জেলা প্রশাসকের এক আদেশবলে গত ১ জুন পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। জেলা প্রশাসকের এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার-উন-নবী মজুমদার হাইকোর্টে রীট আবেদন করেন। গত ১০ জুন জেলা প্রশাসকের এ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চ সরকারের অন্যায় আদেশ স্থগিত করে ঐতিহাসিক আদেশ দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন মোট ৫ দিন পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল করলে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার বিচারপতি এস কে সিনহা গত ১৫ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেন। চেম্বার বিচারপতির এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আমার দেশ-এর পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজের কাছে রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে আদালত ১৫ জুলাই সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন।
কিন্তু ১৫ জুলাই আপিল বিভাগের কার্য তালিকায় আমার দেশ-এর বিষয়টি ১৫ নম্বর আইটেম থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কাভার না করায় শুনানির জন্য সেদিন আদালতে উত্থাপিত হয়নি। গতকাল ওই আপিলের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্ট। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিন, বিচারপতি শাহ আবু নইম মমিনুর রহমান, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এস কে সিনহা।
দৈনিক আমার দেশ-এর পক্ষে শুনানিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। এ সময় আদালতে বিচারপতি টি এইচ খান, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন, ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবির, ব্যারিস্টার এহসান, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মুশফিকুর রহমান তুহিন, অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট তৌফিক হোসেন, ব্যারিস্টার ইমরান, ব্যারিস্টার বেলায়েত, ব্যারিস্টার আরমান, অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা সোমাসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রাহমান। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, এ রায়ের ফলে দৈনিক আমার দেশ প্রকাশে আর কোনো বাধা রইল না। এটি আমাদের নয়, সাংবাদিকদের জয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার জয়। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান কোনো বিষয় নয়, মাহমুদুর রহমান উপলক্ষ মাত্র। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত এবং নিশ্চিত হলো।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এ রায়ের ফলে সংবাদপত্র এবং মিডিয়ার বিজয় হলো।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকার অসত্ উদ্দেশ্যে আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল করেছে এবং মাহমুদুর রহমানের আবেদন এক বছর পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রথম পুলিশি তদন্তে বলা হয়, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এক বছর পর ভেরিফিকেশনে বলা হয়, দেয়া যাবে না। আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে সংবাদপত্র ভারমুক্ত হলো। আশা করি, মাহমুদুর রহমানও একই প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবেন। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায় দ্রুত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর পত্রিকার অগণিত পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী ফোনে জানতে চান—পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে কিনা? পত্রিকা যথারীতি প্রকাশিত হচ্ছে জেনে তারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেন। পাঠকরা উদ্বেগাকুল কণ্ঠে মাহমুদুর রহমানের অবস্থা জানতে চান।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের আদেশের পরই দৈনিক আমার দেশ কার্যালয় আগের মতোই কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে। সাংবাদিক ও কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে আমার দেশ-এর অনলাইন সংস্করণও প্রকাশ করা হয়।
আমার দেশ-এর প্রকাশনা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে করা রিটের শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা সম্পর্কিত মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। আমার দেশ-এর প্রকাশনা বাতিল করে সংবিধানের এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে সরকার।
সরকারপক্ষে এম কে রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রকাশক আলহাজ্ব হাসমত আলী অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। পত্রিকাটির ডিক্লারেশন তার নামে। পদত্যাগ করার পরও বেআইনিভাবে তার নামে পত্রিকাটি প্রকাশ করা হতো। এসব কারণে যথাযথভাবেই প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আলহাজ্ব হাসমত আলীকে প্রকাশক করে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে দৈনিক আমার দেশ প্রকাশিত হয়। এরপর ২০০৮ সালে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ১ জুন পত্রিকার প্রকাশক হাসমত আলীকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করায় এবং ডিসি বরাবর একটি দরখাস্ত দেয়। রাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র প্রদর্শন ছাড়াই ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে বলে প্রেসে পত্রিকার কিছু কপি ছাপা হওয়ার পরই এর ছাপা ও বিতরণ পুলিশ দিয়ে জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে কয়েকশ’ পুলিশ আমার দেশ অফিস ঘেরাও করে। কিন্তু কোনো বৈধ ওয়ারেন্ট ছাড়া পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে চাইলে সাংবাদিক-কর্মচারীরা আপত্তি জানান। একপর্যায়ে ভোর ৪টার দিকে পুলিশ জোর করে আমার দেশ অফিসে ঢুকে সাংবাদিকদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তার রুম থেকে ধরে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের আগে প্রকাশক হাসমত আলীকে দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা মামলার কথা বলা হলেও ২ জুন ভোরে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অফিসে তাকে গ্রেফতার করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা দেয়া হয়। প্রথম মামলায় মাহমুদুর রহমানকে আদালত জামিন দিলেও দ্বিতীয় মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। ৩ জুন মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২ জুন কোর্টে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। একইদিনে হিযবুত তাহ্রীরের অপর একটি মামলায় মাহমুদুর রহমানকেও আসামি করা হয়। ৪ জুন মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে উত্তরায় সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়। একইদিনে মাহমুদুর রহমানকে পুলিশের কাজে অফিসে ও কোর্টে বাধা দেয়ার দুটি মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরদিন হিযবুত তাহ্রীরের মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে আরও ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। ৮ জুন রাতে মাহমুদুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে নেয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরদিন তাকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ১২ দিনের রিমান্ডে দ্বিতীয় দিনে ক্যান্টনমেন্ট থানা হাজতে এবং একাদশ দিনে ডিবি অফিস থেকে র্যাব-১ কার্যালয়ের টিএফআই সেলে নিয়ে তার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়। যার বর্ণনা দু’দফায় মাহমুদুর রহমান নিজে আদালতে দিয়েছেন। এ ছাড়া জেলখানায়ও মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে তিনি আদালতে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া তিনি দু’দিন আদালতে কথা বলার সুযোগ পান। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম তুলে ধরা ও ভারতের আগ্রাসী তত্পরতার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই তাকে গ্রেফতার এবং পত্রিকা বন্ধ ও তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান সর্বস্তরের মানুষ, মানবাধিকার কর্মী, সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং পেশাজীবী নেতারা। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের ২৮ জন সম্পাদক এক যুক্ত বিবৃতিতে আমার দেশ-এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখা এবং সম্পাদককে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। বিএফইউজে ও ডিইউজের দুই অংশের নেতারা অনুরূপ বিবৃতি দেন। গত ১২ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার দেশ পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সম্পাদকরা গণতন্ত্রের স্বার্থে আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানান। আমার দেশ-এর সাংবাদিক-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের সাংবাদিক জাতীয় প্রেসক্লাবে গত দেড় মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পাশাপাশি আমার দেশ-এর ডিক্লারেশন বাতিলের সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। তিনদিন শুনানি শেষে হাইকোর্ট আমার দেশ-এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পক্ষে রায় দেন। পরে চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এর বিরুদ্ধে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে ১৫ জুলাই সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য হয়।
হাইকোর্টের রায়ের পরপরই আমার দেশ অফিসে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে। সারাদেশ থেকে পত্রিকার এজেন্ট ও হকাররা যোগাযোগ করে তাদের চাহিদার কথা জানান। ব্যাপক চাহিদা সত্ত্বেও সময় ও প্রস্তুতির সীমাবদ্ধতার কারণে সীমিত পরিমাণে ক্ষুদ্র কলেবরে ছাপতে হয়েছে আজকের ‘আমার দেশ’।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/07/19/35293

No comments:

Post a Comment