Wednesday 29 June 2011

গণপ্রতিরোধে ভারতকে ভূমি ছাড় দেয়া স্থগিত











মো. দেলোয়ার হোসেন জৈন্তাপুর (সিলেট)
গণপ্রতিরোধের মুখে সিলেটের তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশের জমি ভারতকে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ স্থগিত করেছে সরকার। লোকদেখানো ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জরিপের মাধ্যমে তামাবিল স্থলবন্দর সংলগ্ন তিন একর জমি ভারতের হাতে তুলে দেয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয় জনগণ, সীমান্তরক্ষী, এমনকি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের মতামত উপেক্ষা করে উপরের নির্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের কিছু অংশ ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে—এ খবর শুনে গতকাল সকাল থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে এই বিক্ষোভে এলাকার সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরাও শরিক হন। এলাকাবাসীর চাপের মুখে এক পর্যায়ে জরিপ কাজ স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর ও কেন্দ্রিবিলের প্রায় ৫৫ একর জমি ভারতের হাতে তুলে দেয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে প্রায় এক হাজার একর জমি যৌথ জরিপসহ নানা অজুহাতে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে ভারত চাপ দিয়ে আসছে। অতীতের সরকারগুলো কখনও এগুলো আমলে না নিলেও বর্তমান সরকারের আমলে ইতোমধ্যে জৈন্তাপুরের পদুয়ায় সাড়ে তিনশ’ একর জমি ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা সীমান্তে ম্যাপ পাল্টে প্রায় ৫০০ বিঘা জমি ভারত তার দখলে নিয়েছে বলে গত ডিসেম্বরে জাতীয় দৈনিকে খবর বেরিয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২টি এলাকায় জিরো পয়েন্টের ৫০ গজের মধ্যে ভারতকে কাঁটাতারেরবেড়া নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জিরো পয়েন্টের দেড়শ’ গজের মধ্যে কোনো দেশেরই স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। এভাবে বর্তমান সরকারের আমলে নানা অজুহাতে বাংলাদেশের বহু ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারত বাংলাদেশের নিজস্ব ভূখণ্ডেও স্থাপনায় বাধা দিচ্ছে। সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সীমান্ত এলাকা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত্ বিরোধ চলে আসছিল। সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দিল্লি ও ঢাকায় এবং সিলেট ও ডাউকিতে একাধিকবার উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়। জরিপ টিম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ও ভারত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিলেট সীমান্তের অপদখলীয় ভূমি চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই আলোকে গত ডিসেম্বর থেকে সীমান্তে উভয় দেশের জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। ভারতের চাপের মুখে ও অবৈধ দাবির প্রেক্ষিতে বহুবার জরিপ কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ উচ্চ পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও কোনো সফলতা আসেনি। গত ২ ও ৩ জুন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্জয় ভাট্টাচার্য ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) ড. কামালের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ডাউকি ও তামাবিলে একাধিক বৈঠকের পর সিলেটের সীমান্ত এলাকার ১০টি স্থান চিহ্নিত করা হয়। এ থেকে ৪টি স্থান পাদুয়া, সোনারহাটের লিংকহাট, তামাবিল, নলজুরী এলাকার কিছু স্থান ভারতকে ছেড়ে দেয়ার গোপন সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ও ৫ জুন পাদুয়া সীমান্তের ১২৭০নং মেইন পিলার থেকে ১২৭১-এর ৭এস পিলার পর্যন্ত বিএসএফ পোস্ট থেকে ৫০ মিটার ভূমি ভারতকে ছেড়ে দেয়ার লক্ষ্যে ৩টি স্থানে প্রায় ৩৫০ একর ভূমি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে ভারতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তাতে ভারতীয় বিএসএফ ও নাগরিকরা সন্তুষ্ট না হয়ে বাংলাদেশের পিয়াইন নদী পর্যন্ত প্রায় হাজার একর ভূমি দাবি করায় জরিপ কাজ স্থগিত হয়ে যায়।উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গতকাল সকাল ১১টায় তামাবিল জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ১২৭৫নং পিলারের ১ এস থেকে ৭ এস পর্যন্ত প্রায় ৩ একর ভূমি ভারতকে বুঝিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশের যৌথ সার্ভে দল সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক জরিপ মো. দবির উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক জরিপ এসানপ্লাইসহ উভয় দেশের ১৫/২০ জন সদস্য। উভয় দেশের প্রতিনিধিরা জরিপ কাজ শুরু করলে স্থানীয় সীমান্তবাসী, কয়লা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের গণপ্রতিরোধের মুখে জরিপ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ভারতকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করে। সংবাদ পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় সাবেক এমপি বলেন, দেশ বিভক্তির পর ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণ করা হয়, ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ২০০২ সালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জরিপ টিমের উদ্যোগে সীমান্ত জরিপ কাজ হয়। সীমান্তের ভূমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। তখন ভারত কোনো প্রতিবাদ করেনি। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় আগ্রাসী তত্পরতায় মনে হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, গত বছর তামাবিল স্থলবন্দর থেকে সরকার ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার ৪২২ টাকা রাজস্ব আয় করে। এই স্থলবন্দরের ৩ একর ভূমি ভারতকে সরকার কিসের বিনিময়ে দিতে চায়? দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সীমান্তবাসীর সঙ্গে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও এই আগ্রাসী তত্পরতা প্রতিহত করব। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, বর্তমানে সীমান্তবাসীর বাধারমুখে জরিপ কাজ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জরিপ টিমের সহকারী পরিচালক দাবির উদ্দিন বলেন, উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্তের অপদখলীয় ভূমি ভারতকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের লক্ষ্যে আমরা জরিপ কাজ করছি। তামাবিল এলাকায় অপদখলীয় ভূমি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার অপদখলীয় ভূমি নাই বলে এলাকাবাসীকে জানান।কয়লা ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন, সারওয়ার হোসেন সেদু, মনিরুজ্জামান মিন্টু, কয়লা শ্রমিক সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সেক্রেটারি লিটন মিয়াসহ সীমান্তবাসী প্রতিবাদ সভায় বলেন, সরকার এই স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। বর্তমানে তামাবিল স্থলবন্দরে যে ভূমি রয়েছে তা ব্যবসায়ীদের সংকুলান হচ্ছে না। কিসের স্বার্থে গোপন চুক্তিতে সরকার ভারতকে তামাবিল স্থলবন্দরের ভূমি ছেড়ে দেয়ার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমরা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করব। এর আগে বিজিবি ৫ ব্যাটালিয়নের সিও লে. কর্নেল মো. শফিউল আলম জানান, উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে উভয় দেশের জরিপ দল কাজ করছে। জমি ছেড়ে দেয়া বা পিলার স্থাপনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পাদুয়া সীমান্তে বাঁশের খুঁটি বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ প্রক্রিয়ায় কাজ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে।এ বিষয়ে জরিপ অধিদফতরের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। বিষয়টি ঝুলন্ত না রেখে সব মহলের গ্রহণযোগ্য সমাধান হোক—এটিই প্রত্যাশা করি। যাতে উভয় রাষ্ট্রের সীমান্তবাসী শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়। এখন আর সীমান্ত নির্ধারণের প্রশ্নই ওঠে না। তবে উভয় দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত যা হবে, এ বিষয়ের ওপর আমার বলার কিছু নেই। দুটি রাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় দুটি জরিপ টিমকে প্রায় সময় সীমান্তে জরিপ কাজ করতে দেখা যায়। তবে এতে কোনো সফলতা আসেনি। স্থানীয় জরিপ টিমের টিম লিডার সহকারী পরিচালক (জরিপ) মো. দবির উদ্দিন বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না। তবে যা করছি উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই করছি। আমাদের কাজকর্ম দেখে বুঝে নিন আমরা কী করছি।১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ যৌথ জরিপের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্টে (এলবিএ) উল্লেখ আছে—চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ মাসের মধ্যে অপদখলীয় ভূমি কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ ছাড়াই হস্তান্তর করতে হবে। বাংলাদেশ তা মানলেও ভারতীয়রা এখনও তা মানেনি। ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগেই আছে। ২০০২ সালে সীমান্তে উভয় দেশের মাঠ পর্যায়ে যে জরিপ হয়েছে, তাতে ১০টি স্থানের জমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ড হয়। তখন ভারত কোনো প্রতিবাদ করেনি। জমি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এমদাদ হোসেন জানান, আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আকুল আবেদন, কোনো অপশক্তি যেন আমাদের এক ইঞ্চি ভূমিও নিতে না পারে। তামাবিল স্থলবন্দর থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে। এ স্থলবন্দরের কিছু জায়গা ভারতকে ছেড়ে দিলে সীমান্তের ব্যাপক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে, কয়লা ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবেন, হাজার হাজার পাথর, বালু ও কয়লা শ্রমিক বেকার হওয়াসহ সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে শান্তিতে উভয় দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। হঠাত্ করে জমি দেয়ার সিদ্ধান্ত কোনো মহলই মেনে নিতে পারবে না। তামাবিল স্থলবন্দর রক্ষার্থে প্রয়োজনে সীমান্তবাসীকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী ২০ জুন গোয়াইনঘাট উপজেলার সোনার হাটের লিংকহাট সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু ভূমি ভারতকে ছেড়ে দিতে পারে বাংলাদেশ। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ জরিপ কাজ চলবে বলে জানা যায়।
১২ পয়েন্টে বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখলে নিয়ে বেড়া : এর আগে গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তের ৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অনুমতি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আদায় করে নেয় ভারত। প্রথমে বিডিআর এ কাজে বাধা দিলেও উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে তারা কেবল সরেই আসেনি, মাপঝোক করে স্থাপনা তৈরির জন্য বিএসএফকে জায়গাও বুঝিয়ে দিয়ে এসেছে। সীমান্তের ৪৬ পয়েন্টে বাংলাদেশের ভূমিতে বেড়া নির্মাণের চেষ্টা দীর্ঘদিন থেকে ভারত করে আসছিল। কিন্তু সফল হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত বছর জানুয়ারিতে ভারত সফর ও ৫০ দফা সমঝোতা স্মারকের পরই সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে আবারও সক্রিয় হয় ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কিং টিম সরেজমিনে ভারতের দাবিকৃত জায়গাগুলো পরিদর্শন করে।। কিমিটি ৬টি শর্ত সাপেক্ষে সীমান্তের ১২২টি পয়েন্টে বাংলাদশের জমিতে বেড়া নির্মাণ করতে দেয়ার নীতিগম সিদ্ধান্ত দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল তিনবিঘা করিডোর ইস্যু নিষ্পত্তি করা, ৩২টি ফেনসিডিল কারখানা সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেয়া, ছিটমহল সমস্যার স্থায়ী সমাধান, পঞ্চগড় ও বাংলাবন্ধায় পর্যটন সুবিধা দেয়া এবং অপদখলীয় ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান ইত্যাদি। কিন্তু এসব ইস্যুর সমাধান ছাড়াই গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে আখাউড়াসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ১২টি স্থানে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে মাত্র ৫০ গজের মধ্যে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। এতে করে এসব স্থানে কার্যত বাংলাদেশের একশ’ গজ ভূমির ওপর অধিকার নষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

No comments:

Post a Comment